বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ৷ মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। গত ১২/০২/২০২৩ ইং তারিখ রবিবার সকালে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পক্ষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়েছিল সে প্রেক্ষিতে ১৩/০২/২০২৩ ইং তারিখ সোমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু,বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি,এক নজরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু,রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনার এর ঘোষণা মোতাবেক  মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আজকের নিবন্ধে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সম্পর্কে এক নজরে জেনে নিব।

এক নজরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

জন্ম

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্‌পু ১০ ডিসেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৩) শিবরামপুর, পাবনা সদর উপজেলা, পাবনা জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী ও মাতা খায়রুন্নেসা।

শিক্ষা জীবন

১৯৬৬ সালে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন।

১৯৬৮ সালে এইচএসসি পাস করেন ।

১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন। 

১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন।

১৯৭৫ সালে পাবনা শহিদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন। করেন।

কর্মজীবন

১৯৮০ থেকে দুই বছর দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করেন। (পরে আইন পেশায় যোগ দেন এবং শুরুতে তিনি পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন)

১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারে তিনি মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করেন।

১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন-এর মহাসচিব নির্বাচিত হন।

২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ পদে দায়িত্ব পালন করে অবসরে যান।

২০১১ সালের ১৪ মার্চ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৬ সালে অবসরে যান।

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৭২ সালের ১৬ নভেম্বর রেবেকা সুলতানার সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। ড. রেবেকা সুলতানা বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে ২০০৯ সালে অবসরে যান। তিনি বর্তমানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্চ প্রোগ্রাম বিভাগের অধ্যাপক এবং ফ্রেন্ডস ফর চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এক পুত্র সন্তানের জনক। সন্তানের নাম মো. আরশাদ আদনান (রনি)।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল তিনি ভারতে যান এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সাহাবুদ্দিন ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি 

১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কারাবরণ করেন। 

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ২২তম জাতীয় পরিষদে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।

উপরে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সম্পর্কে এক নজরে তথ্য সমূহ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে কোন ভূলত্রুটি পরিলক্ষিত হলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

পরবর্তী পূর্ববতী
মন্তব্য নেই
মন্তব্য যোগ করুন
comment url